Sunday, September 11, 2016

পানতুমাই, সিলেট
সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পানতুমাই, ভারত সীমান্তে, মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। পানতুমাই গ্রামকে বলা হয় বাংলাদেশ এর সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। যদিও অনেকে একে “পাংথুমাই” বলে, কিন্তু এর সঠিক উচ্চারণ “পানতুমাই”
বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশ পানে নেমেছে অপরূপ এক ঝরনাধারা। ঝরনাটির স্থানীয় নাম ফাটা ছড়া ঝরনা; কেউ কেউ একে ডাকেন বড়হিল ঝরনা বলে। ঝরনাটি ভোগোলিক ভাবে ভারতে অন্তর্ভুক্ত। তাই আমরা বাংলাদেশীরা শুধু দূর থেকেই দেখি এর সৌন্দর্য।পাশেই বিএসএফের ক্যাম্প। এখানে বিজিবির কোনো চৌকি নেই। তাই সীমানার কাছাকাছি যাওয়া বিপদজনক। পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তা পানতুমাই গ্রামের বৈশিষ্ট্য। গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর মতোই লীলায়িত উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে সঠিক নাম না জানা এই ঝরনার জলরাশি। ছিটকে পড়ে মেলে ধরছের রূপের মাধুরী।
পাংথুমাই
কিভাবে যাবেনঃ
___________
পাংথুমাই যেতে হলে র্সবপ্রথম আপনাকে আসতে হবে সিলেট শহরে। সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে এয়ারপোর্ট রোড ধরে এগিয়ে গেলে প্রথমেই চোখে পরবে লাক্কাতুরা আর মালনিছরা চা বাগান। বিমানবন্দর পর্যন্ত এ রকমই সুন্দর রাস্তা দেখতে পাবেন। এই রাস্তা ধরে সালুটিকর হয়ে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন হাদারপার বাজারের কাছে।
হাদারপার বাজারে যাবার আগেই মেঘালয়ের সারিবদ্ধ হয়ে দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে সীমাহীন উঁচু পাহাড়ের সারি স্বাগত জানাতে জানাতে ধীরে ধীরে যেনো কাছে চলে আসতে থাকবে আপনার। দূর থেকে দেখতে পাবেন পাহারের বুক চিড়ে বয়ে আসা সাদা রেখার ন্যায় অসংখ্য ঝর্না হাতছানি দিয়ে ডাকতে শুরু করেছে নিজেদের দিকে, আর আফসোস করতে থাকবেন ওই সবুজে মোড়ানো সারিবদ্ধ পাহাড় আর ঝর্নাগুলো কেন আমাদের হলো না! এসব ঝরণার কাছে গিয়ে পানি ছোঁয়ার কোনও সুযোগ নেই, শুধুই দুই চোখ ভরে উপভোগ করা যায়। কারণ এর সবগুলোই ভারতের। হাদারপার খেয়াঘাট থেকে নৌকায় চেঁপে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের সিমান্ত ঘেসা আকাবাকা পিয়াইন নদী ধরে এক থেকে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন পাংথুমাই।
এছাড়া সিলেট শহর থেকে মাইক্রোবাস অথবা সিএনজি ভাড়া করে সরাসরি যাওয়া যাবে পাংথুমাই পর্যন্ত। পাংথুমাইয়ে যাওয়া যায় দুটি রাস্তায়। একটি হচ্ছে গোয়াইনঘাটের সালুটিকর হয়ে আর অন্যটি জৈন্তাপুরের সারিঘাট হয়ে। উভয় রাস্তায় দূরত্ব ও ভাড়া সমান। এই বর্ষায় ঘুরে আসুন পাহাড়ি ঝর্না পাংথুমাই থেকে, উপভোগ করুন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য বন্ধু অথবা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। হাতে সময় থাকলে নৌকা নিয়ে বিকেলটা কাটিয়ে আসতে পারেন বিছানাকান্দি আর লক্ষণছড়া থেকে।

1 comment: