হিমছড়ি, কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে রয়েছে একটি আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এ সমুদ্রসৈকতের নাম হিমছড়ি। এখানকার সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নির্জন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। এর সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো হিমছড়ি যত না সুন্দর তার চাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয়ার পথটি। একপাশে বিস্তৃর্ন সমুদ্রের বালুকা বেলা আর এক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি। মাঝে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ। পাহাড়ে উঠলে চোখের সামনে ভাসবে নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র।
হিমছড়ির পাহাড়ের হিমশীতল ঝরনাগুলো বেশ আকর্ষণীয়। ছোট ছোট ঝর্না আপন মনে ঝরে পরছে পাহাড়ের গায়ে ছূটে যাচ্ছে সাগরের দিকে।দুপুরের রোদ কমে গেলে রওনা হতে হবে। পথ চলতে হবে কক্সবাজারের নানা চিংড়ি হ্যাচারীর মাঝখান দিয়ে । পথে লাল রংয়ের স্কুল ড্রেস পরা ছেলেমেয়েদের দেখবেন। আর দুপাশে থাকবে সাগর পারের গাছপালা। এরপর বেশ উচু একটা ব্রীজপার হয়ে শুরু হবে হীমছড়ির রাস্তা। রাস্তার একপাশে থাকবে উচু পাহাড় আরেক পাশে সাগর। নানা রকম পাখির কলতান শুনতে শুনতে আপনি রোমাঞ্চিত হবেন। এই রাস্তাটি সেনা বাহিনীর তৈরি করা। যাবার পথে সেনাবাহীর একটি ক্যাম্প। পাহাড়ে নানা রকম ঝোপঝারের সাথে সাথে সমুদ্র সৈতক পাড়ে দেখা যায় সুদুর ঝাউ গাছের সারি। মাঝে মাঝে নারিকেল গাছের এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা সৌন্দর্যের ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। জায়গায় জায়গায় দেখবেন পাহাড়ী ছোট ছোট ঝড়না। শুকনা মৌসুমে হয়তো সবটাতে পানি দেখবেন না। পথে রিক্সা বা গাড়ী থামিয়ে ঝড়নার পারে ঘুরে আসতে পারেন। রাস্তার ওপর পাশে সাগর। মাঝে মাঝে দেখবেন জেলে নৌকা বালির উপর সারি করে রাখা আছে।
হিমছড়িতে একটি ছোট পর্যটন কেন্দ্র আছে। টিকেট কেটে এখানে ঢুকতে হয়। ভীতরের পরিবেশটা বেশ সুন্দর। পাহাড়ের উপরে আছে অনেকগুলো বিশ্রামাগার। প্রায় ২ শতাধিক সিড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠতে হয়। কষ্টটা মুহুর্তেই ভুলে যাবেন যখন পাহাড়ের চুড়া থেকে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্রসৈকতটা এক পলকে দেখতে পাবেন। দুলর্ভ সে দৃশ্য। এখানে একটি ছোট ঝর্না রয়েছে। ঝর্নাটি ছোট কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এটি দারুন রূপ ধারন করে।
যেভাবে যেতে হবে:
ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য আছে সড়কপথ ও আকাশপথ। গ্রীন লাইন, সোহাগ পরিবহন, সিল্ক লাইন ও নেপচুন পরিবহনের ভলবো এসি বাস যায় কক্সবাজারে। ভাড়া ৬৩০ টাকা। ঢাকা থেকে এখন কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য আছে গ্রীন লাইন পরিবহনের সর্বাধুনিক বাস স্কেনিয়া। সড়কপথে আরামদায়ক একটি ভ্রমণ করতে চাইলে অবশ্যই এ পরিবহনটি বেছে নিতে হবে আপনাকে। এ ছাড়া যারা একটু টাকা বাঁচিয়ে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য আছে সৌদিয়া, এস আলম, চ্যালেঞ্জার, ইউনিক পরিবহনের বিলাসবহুল নন-এসি বাস। ভাড়া ৩৯০ টাকা। এ ছাড়া ট্রেনে চট্টগ্রামে এসেও সেখান থেকে কক্সবাজার আসতে পারেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার জন্য আছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশীথা প্রভৃতি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আসার সবচেয়ে ভালো পরিবহন হলো সৌদিয়া, এস আলম, শাহ আমিন ও বোরাক পরিবহনের বাস। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যায় বাংলাদেশ বিমান ও জিএমজি এয়ারলাইন্স।
ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য আছে সড়কপথ ও আকাশপথ। গ্রীন লাইন, সোহাগ পরিবহন, সিল্ক লাইন ও নেপচুন পরিবহনের ভলবো এসি বাস যায় কক্সবাজারে। ভাড়া ৬৩০ টাকা। ঢাকা থেকে এখন কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য আছে গ্রীন লাইন পরিবহনের সর্বাধুনিক বাস স্কেনিয়া। সড়কপথে আরামদায়ক একটি ভ্রমণ করতে চাইলে অবশ্যই এ পরিবহনটি বেছে নিতে হবে আপনাকে। এ ছাড়া যারা একটু টাকা বাঁচিয়ে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য আছে সৌদিয়া, এস আলম, চ্যালেঞ্জার, ইউনিক পরিবহনের বিলাসবহুল নন-এসি বাস। ভাড়া ৩৯০ টাকা। এ ছাড়া ট্রেনে চট্টগ্রামে এসেও সেখান থেকে কক্সবাজার আসতে পারেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার জন্য আছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশীথা প্রভৃতি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আসার সবচেয়ে ভালো পরিবহন হলো সৌদিয়া, এস আলম, শাহ আমিন ও বোরাক পরিবহনের বাস। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যায় বাংলাদেশ বিমান ও জিএমজি এয়ারলাইন্স।
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি ২ ভাবে যাওয়া যায়। জীপ ভাড়া করে অথবা রিক্সায়। অথবা এখানে বেবি ট্যাক্সিও ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভাড়া পাওয়া যায়। সেটাতে করেও যেতে পারেন
No comments:
Post a Comment